Home Anurager chowa Anurager chowa Today episode | অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ২৯ জুলাই

Anurager chowa Today episode | অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ২৯ জুলাই

98
0
Anurager chowa

Anurager chowa today episode 29 july

Anurager chowa today episode অনুরাগের ছোঁয়া। ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, উর্মি যখন রান্নাঘরে রান্না করতে থাকে দীপা তখন চালাকি করে উর্মিকে বলে, আচ্ছা তোর স্বামী কোথায় আছে বল তো? উর্মি দীপাকে বলে ও আমার সাথে খুব খারাপ করেছে।

তার জন্য ওকে আমি জেলে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু দীপা উর্মিকে বলেছি তুই তো স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিস। স্বামী ছাড়া তুই এ বাড়িতে আছিস? তাহলে তোর দাম কি থাকল? আজ তোকে সবাই মানছে। কিন্তু কাল যদি না মানে তখন কী হবে? স্বামী ছাড়া একটা বউয়ের স্বীকৃতি কখনোই সেই বাড়িতে হয় না। তুই তোর স্বামীকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়। নয়তো দেখবি দুদিন পর এরাই তোকে বের করে দিচ্ছে।

আর তুই তো মালকিন। যদি তোর স্বামী না থাকে তাহলে তুই মালকিন থাকবি কি করে? তোকে সবাই এ বাড়ি থেকে বের করে দেবে। দীপার কথা ভালো করে বুঝতে পারে উর্মি। ভাবতে থাকে মেয়েটি তো ঠিকই বলেছে। দীপা ঘোমটার আড়ালে নিজের গল্পটাও একটু উর্মিকে শুনিয়ে দেয়। দীপা বলে, জানিস তো আমার স্বামী অসুস্থ কিন্তু সে আমাকে অনেক ভালোবাসে, অনেক সম্মান করে।

আর এই জন্য আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউই আমাকে কিছুই বলতে পারে না। আমার স্বামী যদি আমাকে ভালো না বাসতো তাহলে এই শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে তাড়িয়ে দিত। শুধু স্বামী ভালোবাসে বলে আমাকে তাড়াতে পারে না। আর তুই তো স্বামীকেই তাড়িয়ে দিয়েছিস। ওকে জেল থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়। তাহলে তোর ভালো হবে দেখবি। anurager chowa

উর্মি বুঝতে পারে যে এই দীপালী যা বলছে তা ঠিকই বলছে। আজ জয় নেই। কিন্তু জয় যদি এভাবে জেলেই থাকে তাহলে তো এ বাড়ির সবাই তার বিপক্ষে চলে যাবে। সে তো আর এ বাড়িতে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তাই উর্মি জয়কে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য সেনগুপ্ত বাড়ি থেকে বের হতে যায়।

Anurager chowa

ঠিক তখনই কুন্তলা আসে। কুন্তলা উর্মিকে বাধা দেয়। উর্মি কোথায় যাচ্ছ? আমি তোমাকে বলছি। ওই দীপা আসলে দীপা তুমি কেন বিশ্বাস করছ না? দীপা বললে উর্মির একদমই ভালো লাগে না। আর ওই আড়ালে দাঁড়িয়ে দীপা কিন্তু সবটাই শুনতে থাকে। anuirager chowa

কুন্তলা উর্মিকে বোঝানোর চেষ্টা করেই দীপালি দীপা কিন্তু উর্মি কিছুতেই সেটা মানতে চায় না। উর্মি ভাবতে থাকে যে নানা কুন্তলা যখন আমার কথা শুনছে না তখন আমি কুন্তলা কে না জানিয়েই জয়কে ছাড়াতে যাব। কুন্তলার কথায়, আমার সব কাজ করলে হবে না। আমাকে যা করার গোপনে করতে হবে। আমার নিজের ভালোটা তো নিজেকে বুঝতে হবে না।

এই কুন্তলা তো যা করছে সব নিজের স্বার্থের জন্য করছে। আমাকে আমার ভালোটা বুঝতে হবে। আমি চালাকি করে হলেও জয়কে ছাড়াতে যাব। অন্যদিকে দীপা যে ওই আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখছে তা হঠাৎ করেই খেয়াল করে দেখে কুন্তলা দেখে যে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে আর দীপাকে লুকানোর জন্য। ঠিক সেই সময় সামনে চলে আসে রূপা দীপার সামনে দাঁড়ায়।

ঘোমটাটা টেনে দেয় যাতে আর দীপাকে কুন্তলা দেখতে না পায়। কুন্তলা চিৎকার করে বলি, কে কাকে দেখলাম? ওখানে কে দাঁড়িয়ে ছিল? ঊর্মি এই সুযোগে ওখান থেকে চলে যায়। নিজের মায়ের সাথে দেখা করতে যাবে এ কথা বলে। অপরদিকে দেখা যায় দীপা ওখান থেকে সরে যায়। কিন্তু রূপা কুন্তলা কে বলে কোথায় যাচ্ছেন?

আমার শাশুড়ি মা চলে যাচ্ছেন বুঝি? আপনার সাথে আমার বোঝাপড়া আছে। কুন্তলা বেশ রেগে গিয়ে রূপাকে বলে, রূপা বেশি বাড়াবাড়ি করো না এখান থেকে। রূপা পালটা কুন্তলা কে বলে আমি এখান থেকে যাব। এটা আমার বাড়ি। আমি এখান থেকে যাব না। আপনি এখান থেকে যাবেন। ভুলে যাবেন না আপনি আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই চাইলেই আমি আপনাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এখান থেকে বের করে দিতে পারি।

দেব নাকি ভদ্রভাবে এখান থেকে বেরিয়ে যাবেন? কুন্তলা বুঝতে পারে যে রূপা তাকে বের করে দিতে চাইছে। কুন্তলা রাগ টাগ করে ওখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে দেখা যায় যে দীপা সূর্যর ঘরে যায় সূর্যকে খাওয়ানোর জন্য। সেখানে রূপা এবং কৃষ্ণও আসে এবং কৃষ্ণ আলাদা জলের বোতল নিয়ে আসে। যে বোতল থেকে সূর্যকে জল খাওয়ানোর কথা ভাবে দীপা।

কারণ দীপা খুব ভালো করেই বুঝতে পারে জলের মধ্যে দিয়ে উর্মি সূর্যকে কিছু একটা খাইয়ে দিচ্ছে। আর সূর্যর হাতে ধাক্কা লেগে দীপার হাত থেকে খাবার পড়ে যায়। সোনা রান্নাঘরে খাবার আনতে যায়। অন্যদিকে দীপা হঠাৎ মনে পড়ে যে উর্মি জয়কে ছাড়াতে যাচ্ছে। কিন্তু জয় তো উর্মি থেকে কোনো সাহায্য নেবে না। আমাকে থানায় যেতে হবে। আরে কুন্তলা, ঠিক উর্মিকে বাধা দেবে না।

যে করেই হোক আমাকে থানায় যেতে হবে উর্মি। পৌঁছানোর আগেই আমাকে গিয়ে জয়কে সবটা বলতে হবে। তাই তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হতে চায় দীপা। কিন্তু সূর্য দীপাকে বের হতে দিতে চায় না। সূর্য বলে, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?

আপনি এখানেই থাকুন। কোথাও যাবেন না আপনি। কিন্তু দিপা সোনাকে বলে যে আমার ভাই খুব অসুস্থ। তাই আমি ওখানে যাচ্ছি। আর তুমি তোমার বাবাকে দেখাশোনা কর। আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসব। এই বলেই দিপা বেরিয়ে পড়ে এবং দিপা থানায় চলে যায়।

উর্মি আগেই পৌঁছে যাই এবং উর্মি গিয়ে অফিসারকে বলে সে তার স্বামীর নামে যে অভিযোগ করেছে সেগুলো তুলে নিতে যাচ্ছে। কিন্তু জয় বলে উর্মি এখান থেকে যাও। জেলে থাকতে থাকতে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। আমি তোমার থেকে কোন সাহায্য নিতে চাই না। কিন্তু উর্মি বলে, জয়, এসব ভুলে যাও। আমি আমার ভুলটা বুঝতে পেরেছি। সবকিছু ভুলে আমরা নতুন করে শুরু করি। anurager chowa

কিন্তু জয় কিছুতেই উর্মির থেকে কোনো সাহায্য নিতে চায় না। জেল থেকে ছাড়া পেতে চাই না। সেখানে দিপা আসে এবং দিপা নাটক করে। অবিনাশকে নিজের স্বামী সাজিয়ে নিয়ে আসে। কোনো একটা কারণে অবিনাশকে নিয়ে পুলিসের কাছে আসে দিপা এবং অবিনাশ নাটক করে।

মুখে দাড়ি টাড়ি লাগিয়ে অফিসারকে বলে যে অফিসার বিশ্বাস করুন আমি কিচ্ছু করিনি। আমি কিছু করিনি। কিন্তু দিপা নাটক করতে থাকে। আর উর্মি তখন দিপাকে দেখিয়ে বলে, এ কি দীপালী, তুমি এখানে?

Next articleAnurager chowa today episode-অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ৩০ জুলাই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here