Anurager chowa today episode
অনুরাগের ছোঁয়া। ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায় দীপা কৃষ্ণকে বলে কৃষ্ণ তুমি কিন্তু শহর ছেড়ে এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবে না। তা হলে কিন্তু সবাই এটা প্রমাণ করে ফেলবে যে তুমি দোষী। আমি জানি তুমি নির্দোষ। দীপার কথা রাখে কৃষ্ণ। কৃষ্ণ নিজের বাড়িতেই থাকে। অন্যদিকে থানায় যখন পুলিশ অফিসারের কাছে কমপ্লেন লেখাচ্ছে সূর্য, কুন্তলা এরা সবাই তখন সূর্য। হঠাৎ অবিনাশকে সেখানে দেখে ফেলে।
আড়ালে থাকলেও অবিনাশ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। অবিনাশকে দেখে বেশ ক্ষেপে গিয়ে সূর্য বলে, একি আপনি? আপনি এখানে? কিন্তু মনে পড়ে অবিনাশের সাথে তার মারপিট হওয়ার মুহূর্তের কথা। অন্যদিকে কুন্তলা ভাবে, ও আচ্ছা অবিনাশ এখানে সুরঞ্জনের কিছু মনে পড়তে পারে। বিষয়টা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে। কুন্তলা এগিয়ে যায় এবং অবিনাশকে বলে আপনি এখানে? anurager chowa
আপনি তো দীপা সেনগুপ্তর বিজনেস পার্টনার থাকার কথা। সূর্য বলে, হ্যাঁ তাই তো। আপনারা তো বিদেশ গেছিলেন। দীপা কোথায়? অবিনাশ কথাটা ঘুরিয়ে নিয়ে বলে। আমি উনার বিজনেস পার্টনার। ওনার সাথে সবসময় আমার থাকার কথা নয়। আমরা একসাথে সবসময় থাকব এমনটা কেন ভেবে নিচ্ছেন? আর তাছাড়া আমার কাজ শেষ হয়ে গেছে এইজন্য আমি চলে এসেছি। ওনার কাজ হয়নি এখনো উনি ওখানে রয়ে গেছেন। এই বলে অবিনাশ বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে কুন্তলা ভাবতে থাকে যে সূর্যর এরকম সব কিছু মনে পড়ছে কী করে?
visit us our categori
next
কেসটা নিয়ে নেয় পুলিশ। অপরদিকে দেখা যায় যে লাবণ্য সেনগুপ্ত বাড়িতে বসে কাঁদছে। রূপার ছোট লাবণ্যকে বলে, তুমি কাঁদছ কেন? বলো কী হয়েছে? লাবণ্য কাঁদে আর বলে, রূপা দিদিভাই, কৃষ্ণ দাদা কিচ্ছু করেনি। তুমি কৃষ্ণ দাদার ওপর রাগ কোরো না। আমি সেদিন নিজে দেখেছিলাম কৃষ্ণ দাদার মতো জামা পরে আর একজন ঢুকেছিল। আর তার পরেই তো সে চলে গেল। পরে কৃষ্ণ দাদা বাড়িতে ঢুকল। anurager chowa
ওই বাগানের দিকে গেল। আমি বুঝতে পেরেছি আমি ওকে দেখেছি। কিন্তু আমি মুখ দেখিনি। সেখানে দিপা আসে এবং ভাবতে থাকে, আহারে ছোট্ট মেয়েটা কী কষ্টই না পাচ্ছে ওকে। আমি আমার মুখটা দেখাই। তাহলে তো ভাববে ও যে না ওর ভালোমানুষ সাথী আছে। যখনই ছোট লাবণ্যকে মুখটা দেখাতে যাই দীপা, ঠিক তখনই সেখানে উর্মি চলে আসে এবং আর দেখাতে পারে না। উর্মি দীপাকে বলে, এ কি দীপালি তুমি? তুমি কোথায় গিয়েছিলে হঠাৎ এভাবে না বলে চলে গেলে কেন?
দীপা ঊর্মিকে বলে, আরে ম্যাডাম তুই বুঝতে পারছিস না কেন? আমি তো বাসন ওয়ালি না। বাসন বিক্রি করতেই তো গিয়েছিলাম। আর তোকে তো বলেই গিয়েছিলাম আমি। দীপা কথাটা ঘুরিয়ে নেয়। জানতে চায় বাড়ির সবাই কোথায় তুই? watch more content
next
সোনা বেটি একথা কাউকে তো দেখছি না। তবে উর্মি এবং ছোট লাবণ্য বলে, ওরা থানায় গেছে কৃষ্ণ নামে কেস করার জন্য। তখনই খুব আপসেট হয়ে যায় রুপা। দিপা ও ভাবতে থাকে যে বিনা দোষে একটা ছেলে শাস্তি পাবে। অন্যদিকে রূপা আচমকাই দীপাকে এসে বলে, মা এখন কী হবে? মা ডাক শুনে চমকে যায় উর্মি। উর্মি বলে, কিরে তুই আবার ওকে মা বলে ডাকলি কেন? কথাটা ঘুরিয়ে নেয় দীপা।
উর্মিকে বলে, আসলে আমি তো মায়ের মতোই না। এই জন্যই মা বলেছি আর কি। তাছাড়া সবাই চারদিকে বাড়িতে শুধু দীপার স্মৃতি দেখতে পায়। তুই বুঝিস না কেন দীপা তোর মা তাই না? উর্মি মনে মনে ভাবে হ্যাঁ সেটাই সবাই দীপা। দীপা করেই যাচ্ছে। সেখানে সোনা এবং কুন্তলা আসে। সূর্য ও জয় এরা সবাই আসে। তবে সোনা উদগ্রীব হয়ে বাড়িতে ঢুকে রূপাকে দেখে বেশ চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। সোনা কেস করে এসেছে। anurager chowa
রুপা এসে বলে, তুমি কেন এমনটা করলে বলো? সোনা চিৎকার করে বলে, যা করেছি ঠিকই করেছি। তোমার স্বামী একটা নোংরা লম্পট ছেলে, যা তার সাথে প্রাপ্য আমি সেটাই করেছি। ওকে আমি এবার জেলে পাঠিয়েই ছাড়ব। তবে সোনা। রূপা চিৎকার করে বলে, রূপা যে!
Next part
শোনো সোনা, আমার হাজব্যান্ড কিচ্ছু করেনি। আর সেটা আমি জানি। তুমি না বলেছিলে আমার হাজবেন্ডের ফোন থেকে তোমার ফোনে এসএমএস গেছে। তোমার ফোন থেকেও আমার হাজবেন্ডের। এই দেখো। এই বলে রূপা ওই এসএমএসটি দেখায়। সোনাকে দেখে চমকে যাই এবং সোনা ভাবতে থাকে। না না আমার ফোন থেকে কীভাবে এসএমএস যাবে।
কিন্তু রূপা বলে এটাই সত্যি। তোমার ফোন থেকে এসএমএস করা গেছে। ভালো করে দেখো। খুব ভালো করে দেখো সোনা চিৎকার করে বলে মিথ্যে কথা। এসবই কৃষ্ণর কারসাজি। আমার ফোন থেকে কোনো এসএমএস আমি করিনি। সবই কৃষ্ণর কারসাজি।
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সব কিছু করছে। এরই মধ্যে কথা বলার চেষ্টা করে কুন্তলা। কুন্তলা সোনাকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে। রুপা রেগে যাই এবং কুন্তলা কে বলে বেরিয়ে যান এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আপনি এখানে কী করছেন? হ্যাঁ সোনা কুন্তলা হ্যাঁ ঠিকই তো।
আপনার তো কাজ হয়ে গেছে। আপনি এখান থেকে যান। এখন আর আপনাকে প্রয়োজন নেই ওখানে। পরে আপনি তো কেসটা কোর্টে উঠলে তারপরেই কেসটা লড়বেন, তাই না? আপনি এখন এখান থেকে যান মুখে ঝামা ঘষে। এই কুন্তলা এবং কুন্তলা ওখান থেকে বেরিয়ে যায়। তবে ভাবতে থাকে যে রূপা তোমাকে আমি মজা দেখিয়ে ছাড়ব সোনা। তুমি বিনা দোষে একটা ছেলের সাথে অন্যায় করছ এটা তোমার ঠিক হচ্ছে না? anurager chowa
Next Part
দীপা এসে বলে, আচ্ছা বেটি তুই একটা কথা বলত? তোর নাম্বার থেকে এ জিনিসটা গেল কী করে? এটা তো মিথ্যে নয় যে তোর নাম্বার থেকে এসএমএস গেছে। তাহলে কী করে? অমনি সবাইকে বলে, তোমরা সবাই মিলে আমার মেয়েটাকে এভাবে সাপোর্ট করবে না।
ও যা বলছে সেটাই ঠিক। সুর্যকে বলে, বাবা তুমি আর কতদিন থাকবে বলো তো? তোমার জন্য আজ সোনা এতটা প্রশ্রয় পেয়ে এমন করছে? চোখে একটা কালো পর্দা দিয়ে আছে সোনা। কিছুই বুঝতে পারছে না। শুধু তোমার জন্য আবারও বাবা বলে ডাকছে। সূর্য রুপাকে বলে, এই তুমি আমাকে বাবা বলে ডাক কেন? আমি তোমার বাবা নই। কেন? রূপা চিৎকার করে বলে, হ্যাঁ, তা ঠিকই বলেছো। তুমি আমার বাবা নও।anurager chowa
তুমি তো শুধুই সোনার বাবা। তুমি আমার বাবা নও। আজব ব্যক্তি তুমি একটা। যখন তোমার সামনে দীপা থাকে তখন তুমি তাকে চিনতে পারো না। আর যখন তোমার সামনে দীপা থাকে না তখন তুমি দীপা দীপা করে মরে যাও। যেমন এখন তুমি একটা আজব ব্যক্তি। তুমি আসলে আমার বাবা নও সোনা। নিজের ঘরে যাই। বসে কাঁদতে থাকে দীপা। সেখানে যাই। সোনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে এই এসএমএস তো তার নাম্বার থেকেও গেছে। সত্যিই কি তার জামাই বাবু কিছু করেছে?
Next part
তবে সোনা দীপাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে এবং মায়ের গন্ধ পায়। গায়ে সোনা বলেই কি তোমার গায়ে আমার মায়ের গন্ধ কেন? দীপা বলে আসলে আমিও তো একজন মা। এই জন্যই হয়তো মায়ের গন্ধ পাচ্ছ। অপরদিকে রুপা ও তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে সূর্য। ভাবে যে তার কি আরও একটা মেয়ে ছিল? অন্যদিকে উর্মি যখন রান্নাঘরে থাকে, উর্মিকে গিয়ে দিপা চালাকি করে বলে, তোর কথা তো কেউ শুনছে না।
সবাই তো দিপা করছে। আচ্ছা তুই আমাকে একটা কথা বল তো তুই এ বাড়ির লোকজনকে কী খাওয়া? তোর ওই ভাসুর ঠাকুরকে কি খাওয়াস? আমার মনে হয় কেউ জাদুটোনা করেছে। তাই আমার একজন পরিচিতজন আছে আর তার দিয়ে তোকে আমি যাদুটোনা করিয়ে দেব। আমি যেগুলো দেব ওই ডাক্তার সাহেবকে তুই তাই খাওয়াবি। দেখবি তুই যেমনটা চাইছিস সব তেমনটাই হবে। anurager chowa
দিপা চালাকি করে ওই উর্মি যাতে কুন্তলার দেওয়া খাবারগুলো ওষুধগুলো সূর্যকে না খাওয়ায় সেই ব্যবস্থাটা করে আরকি। অন্যদিকে দেখা যায় রুডি খুব খুশি থাকে। কারণ রুডি কোনো প্রমাণ কোনোভাবেই রাখেনি। তবে কুন্তলা বলে, রুডি কিন্তু খুব চালাক। তুমি কিন্তু বুঝতে পারছ না। তোমাকে কিন্তু ধরে ফেলতে পারে। কিন্তু রুডি বলে, আমি তো আইপি অ্যাড্রেস টাও নষ্ট করে দিয়েছি। কেউ তো ট্র্যাক করতেই পারবে না। কুন্তলা বলে, ঠিক তো? follow on facebook
Next:-
কোনো প্রমাণ পাবে না তো? রুডি বলে, না, কোনও প্রমাণ পাবে না কেউ। অন্যদিকে দেখা যায় যে কৃষ্ণ যখন কৃষ্ণর বাড়িতে থাকে তখনই সোনা সহ সবাই মিলে চলে যায়। পুলিশ অফিসারও যাই এবং কৃষ্ণকে অ্যারেস্ট করাই। তবে শুনে চিৎকার করে বলতে থাকে, আমার নামে দুর্নাম করবে, আমার নামে বাজে কথা বলবে বা যা ই বলুক তাতে আমার কিছু আসে যায়। কিন্তু কৃষ্ণ বলে, না সোনা, তুমি ওই মায়ের মেয়ে।
দিপা সেনগুপ্তার মেয়ে। আমি তোমাকে অসম্মান করব না কখনোই। আর তাছাড়া আমি তো তোমাকে বোনের মতো দেখেছি। আমার বোনকে আমি কখনোই অসম্মান করব না। তুমি ভেব না। ভাবতে থাকে সূর্য। ছেলেটি এমনভাবে কথা বলছে মনে হচ্ছে কিচ্ছু করেনি। ও নির্দোষ।
ও কি সত্যিই নির্দোষ? সতী কি কিছু করেছে? কিছু তো বুঝতে পারছে না। কিন্তু কুন্তলা অফিসারকে দিয়ে ওই কৃষ্ণকে অ্যারেস্ট করিয়ে ফেলে এবং কৃষ্ণকে থানায় নিয়ে চলে যায়। কৃষ্ণকে জেলে ভরা হয়। দিপা এবং অবিনাশ যায় কৃষ্ণকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য। কিন্তু অফিসার বলে চার্জশিট তৈরি হয়ে গেছে। কোনোভাবেই তারা আসামিকে ছাড়তে পারবে না। কালই আদালতে কেসটা উঠবে। anurager chowa
অন্যদিকে দেখা যায় যে, কৃষ্ণ কিছুতেই সোনার নামে কোনো কথা বলতেই চায় না। তবে দিপা বলে, তুমি সত্যিটা বলবেই কৃষ্ণ কিন্তু কৃষ্ণ বলে, না মা আমাকে মাপ করবেন। অন্যদিকে দেখা যায় যে অবিনাশ রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করার চেষ্টা করে। তবে অনেক সময় লাগবে ওই সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করতে। এটা অবিনাশ দীপাকে জানিয়ে দেয়। তোমরাই এটাই চাও তো যে এবার যেন সত্যিটা সকলের সামনে আসে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলো না।





